বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া দরেই মার্কেন্টাইল ব্যাংক ডলার লেনদেন করছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে ডলারের কোনো সংকট হয়নি। আমদানিতে নির্ধারিত দরের বাইরে বাড়তি কোনো টাকা নিচ্ছি না।’

মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওই সময় ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম প্রধান অতিথি হিসেবে নতুন সাতটি কার্ড সেবা উদ্বোধন করেন।

১৪৮৩ টাকার ব্যবসা এখন ১১ হাজার কর্মীর ৩৪ কোম্পানীর শিল্প গ্রুপ!

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান বিগত বছরে ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি পরবর্তী আর্থিক দুর্যোগের মধ্যেও পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে মার্কেন্টাইল ব্যাংক তার মজবুত অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে। নতুন শিল্প গঠন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন এবং দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

‘মহামারিতে ব্যাংক কর্মীদের কারও এক টাকা বেতন কমানো হয়নি। কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়নি। বরং নতুন নিয়োগ, পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।’

এমডি কামরুল ইসলাম গত বছরের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘চলতি বছর শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ে জোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সঙ্গে নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কৃষি ও এসএমই খাতকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে নতুন নতুন শাখা-উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট স্থাপন অব্যাহত থাকবে।’

গ্রাহকদের চাহিদার বাস্তবায়নে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এএসএম ফিরোজ আলম, পরিচালক আকরাম হোসেন (হুমায়ুন), এমএ খান বেলাল ও মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নতুন সাতটি ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ডের বিশেষত্ব হলো ইএমভি প্রযুক্তিসম্পন্ন এসব কার্ড দিয়ে স্পর্শ ছাড়া লেনদেন করা যাবে।

ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহকদের জন্য আছে শরীয়াহভিত্তিক তিনটি ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড। আর কনভেনশনাল ব্যাংকিং গ্রাহকদের জন্য আছে সিগনেচার, প্লাটিনাম ও গোল্ড ক্যাটাগরিতে চারটি ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড।

এমবিএল তাক্বওয়া ইসলামি ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা প্রথম বছর ইস্যুয়েন্স ফি বা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ মওকুফ পাবেন। এই ইসলামী ক্রেডিট কার্ড সুদমুক্ত এবং এই কার্ডের গ্রাহকরা সর্বনিম্ন মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, ৪৫ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত চার্জমুক্ত এবং শীর্ষস্থানীয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বিপণিবিতানে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পাবেন।

এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকিং সেবায় ‘তাক্বওয়া মুদারাবা হজ সঞ্চয় প্রকল্প’ নামে একটি নতুন আমানত প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গ্রাহক হজ করার উদ্দেশ্যে ইসলামী শরীআহ্ মোতাবেক প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মদ, হাসনে আলম, মু. মাহমুদ আলম চৌধুরী, সিএফও তাপস চন্দ্র পাল।